শুক্রবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এম জাকির হোসাইন এ কথা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দুই নেতার সাথেই আমরা দেখা করেছি। কথা বলেছি।
“পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়াদের কাছ থেকে তালিকা নেওয়া হয়েছে। সংযোজন-বিয়োজন করে আমরা একটা সুন্দর কমিটি দেব।”
এর আগে সকালে চট্টগ্রামে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এম. জাকির হোসাইন।
বিকালে তারা নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে আলাদা সভা করেন।
চবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জাকির হোসাইন বলেন, “তারা (পদবঞ্চিতরা) ৩০-৪০ জনের একটি তালিকা দিয়েছে। সেটা আমরা নিয়েছি। ঢাকায় গিয়ে বাকি কাজ করা হবে।
“এছাড়া যারা আন্দোলন করছিল তারা নিঃশর্তভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইবে। লিখিত আকারে তারা সেটা গণমাধ্যমকে জানাবে।”
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পদবঞ্চিতরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে তালিকা দিয়েছেন।
মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে গত রোববার চবি ছাত্রলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
পরদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
দুই দিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করার পর বুধবার অবরোধের ডাক দেয় তারা।
বুধবার আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাথরে একজন পুলিশ ও একজন রেল কর্মচারী আহত হলে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর বুধবার রাতে পদ পাওয়া এবং পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়াদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। বৃহস্পতিবারও আন্দোলনকারীদের ধর্মঘটে অচল ছিল চবি।
২০১৫ সালের ২০ জুলাই টিপুকে সভাপতি ও ফজলে রাব্বি সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে চবি ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা সাত মাসে চার দফা সংঘর্ষে জড়ানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
রোববার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।