চবিতে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি ‘নিষিদ্ধ’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে একাংশের আন্দোলনের পর  শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ছাত্রলীগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2016, 02:58 PM
Updated : 22 July 2016, 03:54 PM

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির ফেইসবুক পাতায় শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এম. জাকির হোসাইনের স্বাক্ষর রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে আসেন। বিকালে তারা নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের এ দুই নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মহিউদ্দিন-নাছিরের সঙ্গে বৈঠকের পর শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। লিখিতভাবে তা জানানো হয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে বিভিন্ন নামে বগিভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নেতাকর্মীকে এই বগিভিত্তিক রাজনীতি বর্জন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।”

পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুও ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নব ঘোষিত কমিটি নিয়ে পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রামে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী যাওয়া-আসা করে। এই শাটল ট্রেনে বগিভিত্তিক কমপক্ষে সাতটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে ছাত্রলীগে।

এরমধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী সিএফসি ও ভিএক্স গ্রুপ একীভূত হয়ে সম্প্রতি ‘বিজয় গ্রুপ’ এ পরিণত হয়েছে। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন।

অন্যদিকে আ জ ম নাছিরের অনুসারী নেতাদের নেতৃত্বে একাধিক বগিভিত্তিক গ্রুপ রয়েছে।

এরমধ্যে সিক্সটিনাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপু।

এছাড়াও বাংলার মুখ, একাকার, উল্কা, কনকর্ড ও এপিটাফ নামে নাছির অনুসারীদের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে।

বগিভিত্তিক এসব গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝে মাঝেই দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যা বেশিরভাগ সময়ই সংঘাতে রূপ নেয়।