চট্টগ্রাম নগরীর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে গিয়ে আর্বজনা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
Published : 11 Mar 2016, 06:33 PM
শুক্রবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নগরীর ছয়টি ওয়ার্ডে সোমবার থেকে ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহে যাচ্ছি। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে করব। আমার জনবল কম, তাই একসাথে সব ওয়ার্ডে করতে পারছি না।
“আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দিনের পরিবর্তে রাতে আর্বজনা ফেলতে বলেছি। নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত সময়ে আবর্জনা ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। অনেকে সাড়া দেননি, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন।”
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসা-বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তীতে প্রতি বাসায় দুটি করে বিন (ঝুড়ি) দেওয়া হবে।
“নগরীর যেসব এলাকায় বড় ডাস্টবিন দীর্ঘদিন ধরে আছে এবং আবর্জনা কমছে না সেসব এলাকায় আগে করা হবে।”
নিউমার্কেট ও অপর্ণাচরণ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় এরকম কয়েকটি ডাস্টবিন আছে রয়েছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, “তাই আলকরণ ও এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু হবে।”
প্রাথমিকভাবে বাছাই করা এই ছয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুলকবহন ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডও রয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর পলো গ্রাউন্ড মাঠে ২৪তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (সিআইটিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আ জ ম নাছির।
গণমাধ্যমের ‘নেতিবাচক’ মনোভাবের সমালোচনা করে চট্টগ্রামের মেয়র বলেন, “কেউ কেউ লেখার চেষ্টা করছেন বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতা হবে। এটা নেতিবাচকতা ও বিকৃত মানসিকতা, উনাদের সংশয় বেশি।”
নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ‘প্যানিক’ তৈরি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে বলেছিল, বিলবোর্ড কাটতে পারব কি পারব না? আপনারাও আন্দোলন করেছিলেন বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে। তখন কিছু হয়নি।
“আমি শতভাগ বিলবোর্ড কেটেছি।”
মেয়র হিসেবে নিজের কর্মকাণ্ডের পক্ষে ‘পজিটিভ সার্পোট’ দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মহেশখাল ও চাক্তাই খালে গিয়েছি, আমি থামব না। চট্টগ্রাম শহরের সব নালার তলানি দেখতে চাই।
“এর আগ পর্যন্ত নালার বর্জ্য অপসারণ চলবে। বৃষ্টি আসল কি আসল না, দেখব না। খালের মাটি উত্তোলন চলবেই। তিন বছরের মধ্যেই ক্লিন ও গ্রিন সিটি করব।”
নগরীর ফুটপাতে হকারদের ব্যবসা করার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান চট্টগ্রাম মেয়র।
“হকারদের বলেছি- ১৩ তারিখ তাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসব। বিকেল ৫টা বা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ স্থানে নির্ধারিত ভেহিক্যালে (ভ্রাম্যমান যানবাহন) পণ্য বিক্রি করতে পারবে। রাস্তায় কোনো হকার বসবে না।”
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।