চট্টগ্রাম মহানগর তৃতীয় আদালতের হাকিম আব্দুল কাদের বুধবার এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতি মামলায় প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেয়।
এরা হলেন- জেএমবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ডার বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে আপেল ওরফে ফুয়াদ ওরফে মেহেদী ওরফে রকি (২৬), মো. সুজন ওরফে বাবু (২৫), মাহবুবুর রহমান ওরফে খোকন (৩০) এবং মো. শাহজাহান ওরফে কাজল (২৮)।
সোমবার দিনভর নগরীর মাদারবাড়ি ও অক্সিজেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর আজিমপাড়া এলাকা থেকে জেএমবির ‘সামরিক শাখার প্রধান’ তৌফিকুল ইসলাম ওরফে জাবেদ ওরফে রানাকে গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আফতার আহমেদ বাদী হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কর্ণফুলী থানায় তিনটি মামলা করেন।
মামলায় ফুয়াদ, বাবু, মাহবুব ও কাজল ছাড়াও পলাতক জেএমবি’র বিভাগীয় কমান্ডার মো. ফারদিন ও পিয়াসসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ থানার শেরশাহ বাংলা বাজার এলাকায় জেএমবি সদস্য মো. সুজন ওরফে বাবু কথিত ফকির ন্যাংটা মামু ও তার খাদেম আব্দুল কাদেরকে গলাকেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে সদরঘাট থানার মাঝিরঘাট এলাকায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই ছিনতাইকারী এবং সত্যগোপাল ভৌমিক নামে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় মাহবুব, কাজল ও ফুয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আদালত এই মামলায় শুনানির জন্য রোববার সময় রেখেছেন বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান।