রোববার ডানেডিনে ম্যাচটি ১২০ রানে হারে শ্রীলঙ্কা। আর এতে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ৭ ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
এই ম্যাচে ধাম্মিকা প্রসাদের বলে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলের বিরুদ্ধে একটি এলবিডব্লিউর আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার ডেরেক ওয়াকার।
গাপটিল তখন ৪ রানে ব্যাট করছিলেন। অফ আর মিডল স্টাম্পের প্রসাদের বলটি তার হাঁটুর নীচে লাগে। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন আম্পায়ার নাকচ করে দিলে প্রসাদ সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে রিভিউ নিতে বলেন।
প্রসাদ যে প্রান্ত থেকে বোলিং করছিলেন সেই প্রান্তের ভিডিও সরঞ্জামে সমস্যা ছিল। বিষয়টি হয়তো অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে আর উইকেটরক্ষক কুমার সাঙ্গাকার জানতেন; তারা রিভিউর আবেদন করেননি। পরে আম্পায়ার ওয়াকার নিশ্চিত করেন, ওই প্রান্তে রিভিউ চাওয়ার সুযোগ তখন ছিল না।
শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা এ ঘটনা নিয়ে খুবই বিরক্ত হন। মাহেলা জয়াবর্ধনে এটাকে আখ্যা দেন ‘বাজে’ বলে। প্রসাদকেও এ নিয়ে মন:ক্ষুণ্ন মনে হয়েছে।
গাপটিল অবশেষে ২৮ রান করে আউট হন ডিআরএসের মাধ্যমেই। এবার উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়ার পর আম্পায়ার শ্রীলংকার আবেদনে সাড়া দেননি। শ্রীলঙ্কা রিভিউ চাইলে ডিআরএস –এর অন্য দুটি প্রযুক্তি হটস্পট আর স্নিকো ব্যবহার করেই বোঝা যায় যে গাপটিল আউট। এ ক্ষেত্রে আর ডিআরএস ক্যামেরা আর বলের দিক বোঝার সফটওয়ার দরকার হয়নি।