ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলে দেশে ফিরে সোমবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সিপিএলে আমার বোলিংটা অনেক ভালো হয়েছে, তবে ব্যাটিংটা অত ভালো হয়নি। অবশ্য এ নিয়ে তেমন ভাবছি না, ভাবার সময়ও হয়নি।”
“ইংল্যান্ডে খেলা শেষ করেই সিপিএল খেলতে গিয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে একদিনের মধ্যেই ম্যাচ খেলতে নেমে যেতে হয়েছে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সময় পাইনি। তবে এ নিয়ে এখন ভাবতে চাই না। আপাতত কিছু দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতে পারলে ভালো হয়।”
বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ সাকিব সিপিএল নিয়ে মুগ্ধ। তিনি বলেন, “মাঠগুলো যেমন ভালো, তেমনি আয়োজনও ছিল চমৎকার। ওরা টুর্নামেন্টটা খুব ভালোভাবে আয়োজন করেছে। সব কিছুই করেছে পেশাদারিত্ব নিয়ে। তাই খেলোয়াড়দের জন্য সব কিছু সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে এটা খুবই ভালো লেগেছে।”
“আমার দলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল। তাদের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তাই মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি।”
সাকিব মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার নতুন দলে খেলতে হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল এমন একটা দলে হয়তো খেলতে হবে, যে দলে খেলার কথা আমি চিন্তাও করিনি। এর আগে কলাবাগানে কোনো দিন খেলা হয়নি। যা হোক, সেখানেই খেলবো। কোনো সমস্যা নেই।”
“তবে দলবদলের এই পদ্ধতি আমার ভালো লাগেনি। আগের পদ্ধতিই অনেক ভালো ছিল। আমার মনে হয় না এটা কন্টিনিউ করবে। কারণ কোনো খেলোয়াড়ই এটা মানবে না। এ বছর অনেক সমস্যার কারণে হয়তো মেনে নিয়েছে।”
বিপিএলের মতো ঢাকা লিগেও টাকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত গত মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৯ উইকেট নেয়া সাকিব। টাকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আশঙ্কা না, আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে এমনই হবে। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।”