সুরঙ্গা লাকমলের বলে ৪ রানে জীবন পাওয়া সৌম্য সরকার অপরাজিত ৬৬ রানে। ১৩৩ বলে এই রান করতে ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। চার নম্বরে উঠে আসা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ১ রানে।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৬ রানে শ্রীলঙ্কার শেষ ৬ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ৪৯৪ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে বুধবারের খেলা শেষে দলটির সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৩ রান। এখনও ৩৬১ রানে পিছিয়ে আছে অতিথিরা।
গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দিনের শেষ সেশনে স্পিনাররা খানিকটা সুবিধা পান খুব ভালো করে জানা আছে স্বাগতিকদের। তার সঙ্গে ফুটমার্কের সুবিধাও চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেন তারা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম শতরানের জুটিতে দলকে দারুণ শুরু এসে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে একটু অস্বস্তিতে রেখেছিলেন অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার বিপক্ষে। বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ও চায়নাম্যান লাকসান সান্দাকানও করেছেন আঁটসাঁট বোলিং।
কাছাকাছি সময়ে অর্ধশতকে পৌঁছান দুই ব্যাটসম্যান। ৮৬ বলে আসে টেস্টে সৌম্যর দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৯৩ বলে তামিমের ২১তম। ২০১৩ সালে কলম্বোয় জহুরুল ইসলামের সঙ্গে তামিমের ৯১ রানের জুটি ছাড়িয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৮ রান।
চমৎকার খেলে চলা জুটি ভাঙে তামিমের অদ্ভুত রান আউটে। সান্দাকারের বলে লেগে খেলতে গিয়ে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিরোশান ডিকভেলা বল গ্লাভসে জমিয়ে করেন কট বিহান্ডের আবেদন। তামিম তবু ক্রিজে ছেড়ে এগোতে থাকেন, রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেননি শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক। ১১২ বলে ৬টি চারে ৫৭ রান করে ফিরেন বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
তিন নম্বরে নেমে বেশিক্ষণ টিকেননি মুমিনুল। পেছনে পায়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন বাঁহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। দিনের বাকি সময়টা অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে নিরাপদে কাটিয়ে দেন সৌম্য। ধীরে ধীরে সহায়তা পেতে শুরু করেছেন স্পিনাররা। দলকে ভালো অবস্থানে নিতে এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপরে অনেকখানি নির্ভর করবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৯৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৬ ওভারে ১৩৩/২ (তামিম ৫৭, সৌম্য ৬৬*, মুমিনুল ৭, মুশফিক ১*; লাকমল ০/১৫, কুমারা ০/৩৮, পেরেরা ১/৩২, হেরাথ ০/৩০, সান্দাকান ০/১৭)