তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আমি দুই মাসের ছুটি নিয়েছি।
আগামী কার্যদিবস থেকে কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে সিন্ডিকেটসহ সব ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”
এ ঘটনার উপচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছেন শিক্ষকরা। উপাচার্যের ছুটিকে প্রাথমিক বিজয় বলে উল্লখ করেছেন তারা।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে ছুটি নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, মাঝে মাঝে ছুটির প্রয়োজন হয়। পারিবারিক বিশেষ প্রয়োজনে ছুটি দীর্ঘায়িত করেছেন।
তবে, ছুটিতেও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সিন্ডিকেট সভার পরপরই উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুব্ধ শিক্ষক পরিষদ’।
মানববন্ধনের পর পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মস্তাবুর রহমান ও নাজিয়া চৌধুরী যান উপাচার্যের কাছে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত জানতে।
ফিরে এসে মস্তাবুর রহমান শিক্ষকদের জানান, “আজই উপাচার্যের শেষ কার্যদিবস। আগামী দিন থেকে কোষাধ্যক্ষ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। তাই আমরা আমাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত করলাম।”
ছুটিতে থাকা এই দুই মাসের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ করবেন বলে আশা করেন মস্তাবুর রহমান।
উপাচার্যের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও প্রশাসন পরিচালনায় অযোগ্যতার পাশাপাশি নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’।
এরই মধ্যে গত সোমবার উপচার্য আমিনুল হক ভুইয়ার পদত্যাগ দাবি করে ৩৭টি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন ৩৫ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অধ্যাপক জাফর ইকবালও রয়েছেন।