রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলার ৬২ বছরে স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম ও অষ্টম সমাবর্তন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থেকে স্নাতকদের ডিগ্রি প্রদান করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল উদ্বোধন করবেন।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে রাখবেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তালাত আহমদ।
এবারের সমাবর্তনে চার হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত স্নাতক, আট শতাধিক শিক্ষক ও পাঁচ শতাধিক অতিথি উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাঁচস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশাপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ছাড়াও র্যাব ও বিজিবির টহল থাকবে।
অতিথিরা যেন নির্বিঘ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে এবং সমাবর্তন শেষে ফিরে যেতে পারে সে জন্য সড়কগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলে জানান তিনি।
তবে চলমান অবরোধের পাশাপাশি রোববার রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ছাত্রদলকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় হরতাল ডাকে রাজশাহী বিএনপি।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণা দেন।
নানা প্রতিকূলতার পরও সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশাপ্রকাশ করে উপ-উপাচার্য সারওয়ার জাহান বলেন, সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক কমিটিসহ মোট ১৮টি উপ-কমিটি ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এবারের সমাবর্তনে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।