সিট নিয়ে ঢাবি হলে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, আহত ১২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ‘আসন দখলকে’ কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2017, 05:59 AM
Updated : 21 April 2017, 09:23 AM

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলছেন, ‘অনাকাক্ষিত’ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহতদের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরিফুর রহমান আরিফ ও সংগীত বিভাগের একই বর্ষের রায়হান কবিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলের টেলিভিশন কক্ষের উপরে দ্বিতীয় তলার বারন্দার একটি কক্ষের আসন নিয়ে বুধবার রাসেল ও তাপসের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

সে সময় তাপসের অনুসারী একজনকে মারধর করা হলে বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষ হলের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায়।

এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের রড ও লাঠি নিয়ে পরস্পরের ওপর চড়াও হতে দেখার কথা বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী।

পরে সভাপতি রাসেলের অনুসারীরা টিভি রুমের ওপরে দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেয় এবং সাধারণ সম্পাদক তাপসের অনুসারীরা মাঠে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে বেশ কিছু সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে।

পরে প্রক্টর আমজাদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সংঘর্ষের মধ্যে দ্বিতীয় তলার বারন্দায় তাপসের অনুসারীদের দশটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়। ঢিল লেগে ভেঙে যায় বেশ কয়েকটি জালনার কাচ।

সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের ট্রাংক ভেঙে তিনটি ল্যাপটপও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিট নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।”

আর বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”