দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বিসিএস কনফিডেন্স কোচিংয়ের সদরঘাট শাখার পরিচালক মো. মফিজুর রহমান রনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুদ্দিন লিখন রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মুশতাক আহমেদ ও আব্দুর রহমান নামে বাকি দুজন ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার্থী।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ স্কুল কেন্দ্রের সামনে থেকে প্রশ্নপত্রসহ মুশতাক ও রহমানকে আটক করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রক্টর কার্যালয়ে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে কনফিডেন্স কোচিংয়ের সদরঘাট শাখা পরিচালক মফিজুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী লিখনকে আটক করি আমরা।”
তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মিল রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ বলেন, পরে আটক চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার মোসাম্মত রহিমা আক্তার পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৯(খ) ধারা অনুযায়ী ওই চারজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া প্রত্যেককে ৩০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেলেও প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা নাকচ করে প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ওই দুই পরীক্ষার্থী জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত।
“জালিয়াত চক্রের হাতে তুলে দিতেই তারা প্রশ্ন পাওয়ার পরপর কেন্দ্র পরিদর্শকদের ফাঁকি দিয়ে বের হয়েছিল বা বাইরে থেকে কোনোভাবে ভেতরের কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের রায়ের পর চারজনকে কারাগার পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হোসেন।
বেলা ৩টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ৩১টি স্কুল-কলেজের কেন্দ্রে শুরু হয় ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
এবার ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদভুক্ত) পরীক্ষায় মোট ৮২৫ টি আসনের বিপরীতে ৬৪ হাজার ৩০৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করে।