গ্রন্থাগার বাঁচাতে আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেন জবি উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নির্মিতব্য কক্ষটি গ্রন্থাগারের অধীনেই থাকবে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 03:13 PM
Updated : 25 May 2016, 03:13 PM

কক্ষটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ল্যাব তৈরির প্রতিবাদে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বুধবার সন্ধ্যায় উপাচার্য বলেন, “কক্ষটি লাইব্রেরির অংশ, এটি লাইব্রেরিরই থাকবে। কোনো বিভাগের অধীনে যাবে না কক্ষটি।”

তিনি বলেন, ল্যাপটপ ব্যবহারসহ পড়ার জন্য আলাদা একটি রুমের জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেজন্যই এ রুমটি করা।

“কিন্তু ক্লাস রুম সংকট থাকায় ছয় মাস কক্ষটি সিএসই বিভাগ ব্যবহার করবে। এরপর তারা নতুন রুমে চলে গেলে এটি সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ব্যবহার করবে।”

সম্প্রতি গ্রন্থাগারে নতুন কক্ষ নির্মাণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে প্রথম বিক্ষোভ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা রাখার দাবিও রয়েছে সংগঠনটির।

গ্রন্থাগারের নতুন কক্ষের দেওয়াল ফুটো করে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

প্রগতিশীল ছাত্রজোট গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনকে মঙ্গলবারের মধ্যে নতুন কক্ষ নির্মাণ বন্ধের আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু নির্মাণকাজ বন্ধ না হওয়ায় বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে গ্রন্থাগারের নির্মিতব্য কক্ষে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী পাইপ দিয়ে কক্ষের একটি দেয়ালে ছিদ্র করে দেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় উপাচার্য ছয় মাস পর সিএসই বিভাগ কক্ষটি ছেড়ে দেবে- এমন আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা তা মেনে নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ষষ্ঠ তলায় গ্রন্থাগারের প্রবেশপথের বামপাশে নতুন কক্ষটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সাততলা একাডেমিক ভবন ২০ তলায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকার জানিয়েছেন, উপাচার্য রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, “রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এজন্য কর্মী নিয়োগসহ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। তা শেষ করেই সে ব্যবস্থা করা হবে।”