যৌন নিপীড়ন: আহসানউল্লাহর শিক্ষক ফেরদৌস গ্রেপ্তার

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2016, 04:06 AM
Updated : 4 May 2016, 08:17 AM

বুধবার ভোরে রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কলাবাগান থানার এসআই শামীম আহাম্মেদ জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুল্লাহ আল সায়েম কলাবাগান থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে এসআই শামীম জানান, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় আহসানউল্লাহ ক্যাম্পাস হলেও কলাবাগান থানাধীন পান্থপথ এলাকায় ওই শিক্ষকের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে তিনি সাধারণত রমনা থানা এলাকার বাসায় থাকতেন।

তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে নিজের বিভাগের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শনিবার প্রতিষ্ঠানটির তেজগাঁও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

তড়িৎ কৌশল বিভাগের ছাত্র মোহাইমিনুল সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ডিপার্টমেন্টের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও কয়েকবার তিনি একই কাজ করেছেন।

“সর্বশেষ এ সংক্রান্ত একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছিলাম। এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বিবৃতি লিখিয়ে নেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”

পরে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে উপাচার্য অধ্যাপক এ এম এম শফিক উল্লাহ শিক্ষক ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।

উপাচার্য সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির দুটি ‘বেনামী অভিযোগ’ পাওয়া গেছে। তাছাড়া একজন ছাত্রীর কাছ থেকে নির্দোষিতার পক্ষে জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টার একটি ভিডিও কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।

“তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার পেছনে আর কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”