‘মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অংশ বাড়ানো দরকার’

মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বইয়ে ইতিহাসের অংশ বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2016, 03:04 PM
Updated : 30 April 2016, 03:04 PM

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং দ্বিবার্ষিক জাতীয় ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনীতে একথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “এটা ভাবতে দুঃখ লাগে যে, বাংলাদেশের স্কুল পর্যায়ের পাঠ্য বইয়ে ইতিহাসের অংশ খুবই সামান্য।

“ইতিহাস শেখার যে গুরুত্ব তা মাধ্যমিক পর্যায়েই গড়ে তোলা প্রয়োজন। তা নাহলে পরবর্তী পর্যায়ে ইতিহাস চর্চা দুর্বল হতে বাধ্য।”

বাংলাদেশের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে ইতিহাস চর্চা আরও গুরুত্ব পাবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অতীত আমাদের ভবিষ্যতে চলার প্রেরণা দেয়। আমরা সব সময় অতীতের পর বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে নির্মাণ করতে চাই।

“কাজেই সেই ভিত্তিটাকে আমাদের ভালো করে ধরে রাখতে হবে।”

এর বাইরে আমাদের ইতিহাসের কাজকে আরও  সমৃদ্ধ করতে ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের তাদের সাধ্যমত ইতিহাস চর্চায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই শিক্ষক।

আনিসুজ্জামান আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত স্বল্পক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা বৃহৎ পরিসরের ইতিহাস পর্যালোচনা না করে আঞ্চলিক ইতিহাসের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।

“মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস চর্চার উল্লেখযোগ্য অংশ। সেখানেও আমরা আঞ্চলিক ইতিহাস বা প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস এগুলো লেখার চেষ্টা করছি। এসবই আমাদের সামগ্রিক ইতিহাস চর্চাকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সমৃদ্ধ করছে।”

সভায় ইতিহাস পরিষদের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।

ইতিহাসে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠান থেকে ২২ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া গত তিন বছরে প্রকাশিত ইতিহাস সংশ্লিষ্ট তিনটি বইয়ের লেখককে পুরস্কৃত করা হয়।