জবির ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনে ভর্তিচ্ছু ৫৬ জন

চলতি শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) বিষয়গুলোতে ভর্তির হতে প্রতি আসনের বিপরীতে ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2015, 02:04 PM
Updated : 9 Oct 2015, 02:04 PM

শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ ১৮টি কেন্দ্রে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বি ইউনিটের ৭২০টি আসনের বিপরীতে ৪০ হাজার ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। এই ৭২০ আসনের মধ্যে ৪৮৭টি মানবিক, ১৫০টি বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য এবং বাণিজ্য ও অন্যান্য বিভাগের জন্য ৮৩টি বরাদ্দ রয়েছে।

সমসংখ্যক প্রশ্নের বিপরীতে ৭২ নম্বরের পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য পরীক্ষার্থীরা ১ নম্বর পাবেন, আর প্রতি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট ড্রেস কোড ও অন্যান্য নির্দেশনা থাকলেও অনেককেই তা উপেক্ষা করতে দেখা যায়।

নির্দেশনার মধ্যে ছিল- হাফ হাতা জামা ও স্যান্ডেল (জুতা ও মোজা ছাড়া) পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা এবং ক্যালকুলেটর, ঘড়ি ও মোবাইলসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস না নিয়ে আসা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীদেরই জুতা-মোজা তল্লাশি করা হয়েছে, অনেকেরটাই খুলে রাখা হয়েছে। বিশেষ ধরণের ঘড়ি খুলে রাখা হয়েছে।

বেতন কাঠামো নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতির হুমকিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও পরীক্ষার আগের দিন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তারা।

১৬ অক্টোবর ‘সি’, ৩০ অক্টোবর ‘এ’, ৬ নভেম্বর ‘ডি’ এবং ১৩ নভেম্বর ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা এখনও কাটেনি।  এসব পরীক্ষা বর্জনের শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বহাল রয়েছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও পরীক্ষা স্থগিত করেনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ফেডারেশনের সাথে কথা বলে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্ট করা হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একই দিনে সকালে-বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার সময় পরিবর্তন হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আবার ঢাকায় আসতে হবে।

মীজানুর রহমান বলেন, সেক্ষেত্রে ২০১৫ সালে হয়তো আর নেওয়া যাবে না। কারণ শুক্রবার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকবে। দেখা যাবে, সেটা নিতে হবে ২০১৬ সালে।

উপাচর্য বলেন, এবার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি।

এবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট দুই হাজার ৭৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য এক লাখ ৮৫ হাজার ৭৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

শেষবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে।