পরিবেশগত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগে ফ্রান্সের তিনটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে।
Published : 27 Jun 2015, 10:37 AM
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মধ্যে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান বৃহস্পতিবার এই খবর ছেপেছে।
সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশ্বের বৃহত্তম ম্যাংগ্রোভ বনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে বলে পরিবেশবাদীরা বলে আসছে।
তবে দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে না নাকচ করে বলা হচ্ছে, পরিবেশগত ক্ষতি ন্যূনতম রেখেই ১৩৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, যা ২০১৮ সালে উৎপাদনে যাবে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডের (এনটিপিসি) সমান অংশীদারিত্বে একটি কোম্পানি গঠন করেছে।
গার্ডিয়ান বলছে, ছয় মাস আগে নরওয়ে এনটিপিসি থেকে তাদের বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার পর গত মাসে ফ্রান্সের তিনটি ব্যাংক রামপাল কেন্দ্রে বিনিয়োগের প্রস্তাবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিকে ‘না’ জানিয়ে দেয়।
ব্যাংক তিনটি হচ্ছে- ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল, সোসিয়েতে জেনেরাল ও বিএনপি পরিবাস।
ঝুঁকির কথা বিবেচনায় বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোলের টেকসই উন্নয়ন বিভাগের প্রধান স্তানিসলাস পতিয়ে।
একই কথা বলেছেন সোসিয়েতে জেনেরালের পরিচালক জ্যঁ-মিশেল মেপিয়াও।
বিএনপি পরিবাস বলছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা, পরিকল্পনার ক্ষেত্রে পরিবেশগত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোশনের মানদণ্ডও এতে রক্ষিত হয়নি।
পরিবেশগত মানদণ্ড রক্ষায় ব্যর্থ হলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে তহবিল সংগ্রহ জটিল হয়ে পড়বে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এনটিপিসি কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে এবং এটি চালাতে বছরে দরকার হবে ৪৮ লাখ টন কয়লা।