শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মোবাইল ক্যাশ ট্র্যান্সফার সেবার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দিতে একটি নতুন উদ্যোগ চালু হয়েছে।
Published : 06 May 2015, 10:32 PM
বর্তমানে ২০টি জেলার ১৬,০০০ শিশু আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগের অধীনে ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসকারী আরও ৫০০ শিশু আগামী ১৮ মাস মোবাইল ফোনের ক্যাশ ট্রান্সফার সেবার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা পাবে।
এই উদ্যোগটি ইউনিসেফ এর সহায়তায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘এনেবলিং ইনভায়রনমেন্ট ফর চাইল্ড রাইট (ইইসিআর)’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনটি সুনির্দিষ্ট শর্তের আওতায় এই শিশু এবাং তাদের পরিবার প্রতি মাসে তিন কিস্তিতে ২০০০ টাকা পাবেন। শর্তগুলো হচ্ছে, শিশুদের অবশ্যই স্কুলে যেতে হবে, তারা কোনো শিশুশ্রমে যুক্ত থাকলে তা বন্ধ করতে হবে এবং তাদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডার বলেন, গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সরকারের সঙ্গে নেওয়া এই উদ্যোগ বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের একটি ভালো উদাহরণ।
“এর ফলে ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সমতা সৃষ্টির লক্ষ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের আরও সম্পদ বরাদ্দের পথ সুগম হতে পারে।”
এই উদ্যোগে গ্রামীণফোন বিনামূল্যে সংযোগসহ ৫০০টি হ্যান্ডসেট দিয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রামীণফোনের পরিচালক ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস দেলোয়ার হোসেন আজাদ বলেন, “বাস্তব সমস্যার সমাধান এবং তাতে অধিকতর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মোবাইল সংযোগ যে ভূমিকা রাখতে পারে মোবাইল মানি ট্রান্সফার তার একটি মাত্র উদাহরণ।”