সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মলেন জানান, মেট্রোরেল প্রকল্পের যে আটটি দরপত্র ডাকা হবে তার মধ্যে প্যাকেজ-৮ এর আওতায় শুক্রবার এই দরপত্র চাওয়া হয়েছে।
“এই প্যাকেজে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রোলিং স্টক এবং ডিপো ইক্যুইপমেন্ট ও ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া যাত্রীবিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কশপ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেকট্রিক্যাল ভবন, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।”
২০১৫ সালের মধ্যে আটটি প্যাকেজের দরপত্র ডাকার কাজ শেষ হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্যাকেজ-৭ এর প্রাকযোগ্যতা যাচাই এবং প্যাকেজ-১ এর আন্তর্জাতিক দরপত্র আগামী মাসে আহ্বান করা হবে।”
এছাড়া ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ১৬টি স্টেশন নির্মাণে প্যাকেজ-৩, ৪, ৫ ও ৬ এর প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ের দরপত্র মে মাসে দেওয়া হবে বলে ওবায়দুল কাদের জানান।
আর দুই নম্বর প্যাকেজের আওতায় ডিপো এলাকার ভবন ও নির্মাণকাজের দরপত্র দেওয়া হবে আগামী অক্টোবরে।
২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদন পায়। আর গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস হয় মেট্রোরেল আইন।
বাস্তবায়নাধীন লাইন-৬ এর আওতায় উত্তরা থেকে মিরপুর-ফার্মগেইট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রোরেল। মোট ২৪টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে, যার প্রতিটিতে থাকবে ছয়টি কার।
উত্তরা থেকে যাত্রী নিয়ে ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে মেট্রোরেল পৌঁছাবে মতিঝিলে। প্রতি চার মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে এই রেল, ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যার ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার জোগান দেবে সরকার।
প্রকল্পের ১৬টি স্টেশন থাকবে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে।
আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনার কথা এর আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।