তিন দিনের সিটিও ফোরাম শেষ

মানুষের ক্ষমতায়ন, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তিন দিনের কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অরগানাইজেশনের (সিটিও) ৫৪তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2014, 02:32 PM
Updated : 10 Sept 2014, 02:32 PM

ফোরামে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের ক্ষমতায়ন, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কাছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্ণিত করে তা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন অংশগ্রহণকারী কমনওয়েলথভুক্ত ২১ টি দেশের প্রতিনিধিরা। 

বুধবার রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আগামীতে যখন বাংলাদেশ এ ফোরাম পুণরায় আয়োজন করবে, আমি আশা করি তার আগেই আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অনেক দুর এগিয়ে যাবো।

“এদেশে এত দ্রুত তথ্য প্রযুক্তির প্রসার সম্ভব হয়েছে প্রাইভেট অপারেটরগুলোর ‘আগ্রাসী’ বিনিয়োগ এবং এদেশের জনগণের প্রযুক্তি গ্রহণ করার ক্ষমতার জন্য।”

তথ্য ও প্রযুক্তির প্রসারে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, “পাঁচ বছর আগের অবস্থার সাথে বর্তমান অবস্থার তুলনা করলে বলা যায়, অনেক চড়াই উতরাই পার হয়েও আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, অনেক উন্নতি করেছি।

“আমি আশা করি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রসারে ভবিষ্যতে সিটিও আরো বেশি কার্যক্ষম ভূমিকা রাখবে। সদস্য রাষ্ট্রদেরও (সিটিও) কে সহযোগিতা করে যেতে হবে। একই সাথে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য সিটিও‘র এমন কোন সুবিধা প্রবর্তন করা উচিত যা অন্য কোন সংগঠন এখনো দেয় নি।”

সিটিও’র সেক্রেটারি জেনারেল টিম আনউইন বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রযুক্তি আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি না করে সকলকে এক কাতারে নিয়ে আসতে পারে। কমনওয়েলথ অর্থই হচ্ছে একসাথে কাজ করা, প্রতিযোগিতা নয়। এমনটা হলে কমনওয়েলথের উদ্দেশ্য বিফলে যেতে পারে।”

তিনদিনের এ ফোরামে ২১ টি প্রেজেন্টেশন, একটি কর্মশালা ও নয়টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২১ টি সদস্য রাষ্ট্রের ১১১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকার, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অপারেটরসহ এ খাতের অংশীদারদের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম (সিটিও) সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘আইসিটিস ফর ডেভেলপমেন্ট- ফ্রম এক্সেস টু ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ইনোভেটিভ সার্ভিস।’

গত সোমবার শুরু হওয়া এ ফোরামের বিভিন্ন প্যানেল আলোচনায় ব্রডব্যান্ড সুবিধার প্রসারে সহজলভ্যতা, অবকাঠামো ব্যবস্থার অংশীদারিত্ব, মোবাইল বাণিজ্য ও ই-কমার্স, মূল্য সংযোজন সেবা, শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয়, কর্মে অক্ষম মানুষের জন্য মোবাইল সুবিধার অগ্রাধিকার, বিশ্বজনীন সার্ভিস ফান্ডের ব্যবহার, টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তি মাইগ্রেশনের বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ক্লাউড ভিত্তিক বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং এর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ফোরামে সাইবার অপরাধ মোকাবেলা, শিশু ও নারীদের অধিকার ও মর্যাদার সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামের যুবসমাজ ও পিছিয়ে থাকা জনিগোষ্ঠীকে আইসিটি সুবিধা দেয়ার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হয়।

তিনদিনের এ সম্মেলনের মিডিয়া পার্টনার ছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

</div>  </p><p> <div class="embed"> <iframe height="315" src="https://www.youtube.com/embed/izotEYTXEEI" width="420"/> </div>  </p>