রানা প্লাজা ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর টাকা দেয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
Published : 20 Apr 2014, 01:04 AM
শনিবার বিবিসি সংলাপ অনুষ্ঠানে রানা প্লাজা ধসের ক্ষতিপূরণ দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করছে ডিএনএ টেস্টের ওপর। ডিএনএ টেস্ট শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে টাকা দেয়া হবে।
“আমি মনে করি, এই ফান্ডে অবশ্যই বিজিএমইএর টাকা দেয়া উচিত। যদি তারা না দেয়, তাহলে শ্রমিকদের যা কিছু প্রয়োজন, সরকার তা করবে।”
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকা রানা প্লাজার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হয়েছে।
ডিএনএ টেস্ট শেষ হওয়ার পর আরো বেশি সংখ্যক শ্রমিককে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ সহযোগিতার বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা যদি টাকা জোগাড় করতে পারি, তাহলে অবশ্যই দেব।”
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল গঠনের সময় ওই তহবিলে দুই কোটি টাকা দিয়েছিল বিজিএমইএ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল বলেন,” আপাতভাবে সবার মনে হতে পারে বিজিএমইএর টাকার অভাব নেই। তবে উল্টোপিঠের কথা হল অনেক মালিকই কারখানা চালাতে পারছেন না।”
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা নাজমা আক্তার বলেন, ভবন ধসে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবার ও স্বজনদের জন্য আর্থিক অনুদান প্রয়োজন বটে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ অনুদান দেয়াটি ক্ষতিপূরণ আইনের আওতায় পড়ে না। আমরা চাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান যে ক্ষতিপূরণ আইন রয়েছে, তার সংস্কার করে আরো বেশি শ্রমিকবান্ধব করা হোক।”
গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হন এগারোশ’রও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক।