ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা চালুর উদ্যোগ নিতে এ অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 04 Oct 2016, 02:06 PM
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে সপ্তদশ সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটস্ কাউন্সিলের (এসএটিআরসি) তিন দিনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে পাঁচটি অপারেটর থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে সাড়ে তিন কোটির বেশি এমএফএস অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
“ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক মোবাইল ফিনানিশিয়াল সার্ভিস চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের দেশে মোবাইল পেনিট্রেশন বেশি হলেও উন্নত দেশ থেকে পিছিয়ে আছি। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভয়েস ব্যবহারে সীমাবদ্ধ। ভয়েস সেবার সাথে সাথে অন্যান্য সেবার সঠিক ব্যবহারে যতদিন না যেতে পারব, আমরা পিছিয়েই থাকব।”
টেলিযোগাযোগে উন্নত দেশগুলোর সমকক্ষ হতে হলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী।
“এজন্য সব স্টেকহোল্ডারদের এক সাথে কাজ করতে হবে। আইসিটি ও টেলিকমের সঠিক ব্যবহারই আমাদের উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে পারে। সেই সক্ষমতা ও ইচ্ছা আমাদের সকলের আছে।”
এসএটিআরসির চেয়ারম্যান ভারতের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান আর এস শর্মার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বক্তব্য দেন।
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা, টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা আইটিইউ এবং এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির উদ্যেগে ১৯৯৭ সালে এসএটিআরসি গঠিত হয়। এই সংস্থা বেতার তরঙ্গ সমন্বয়, নিয়ন্ত্রণ প্রবণতা, টেলিযোগাযোগ উন্নয়নে কৌশল এবং টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে থাকে।
সদস্য দেশগুলোর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রতিবছর এ কাউন্সিল হয়। বাংলাদেশে এর আগেও তিন বার এ সম্মেলন বসেছে।