জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজ দেখিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Published : 15 Jun 2016, 08:16 PM
ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ১৪ সদস্যকে দুদকে হাজির হতে হবে। তারা হলেন আরাস্তু খান (প্রাক্তন সদস্য), ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মঞ্জুরুল হক লাবলু, এ কে গোলাম কিবরিয়া, বলরাম পোদ্দার, মো আব্দুর রউফ, আলতাফ হোসেন মোল্লা, রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী, এ বি এম কামরুল ইসলাম, নাগীবুল ইসলাম দীপু, শেখর দত্ত, জাকির হোসেন, শাহজাদা মহিউদ্দিন ও আবু সুফিয়ান।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদের সঙ্গে তলব করা হয়েছে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান খান ও সৈয়দ বজলুল করিমকে।
দুদকের উপপরিচালক বেনজির আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসতে বলা হয়।
তাদের আগামী ২০, ২১ ও ২২ জুন হাজির হতে বলা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মিজানুর রহমানকে দেওয়া ঋণের ঘটনায় তাদের ডাকা হয়েছে।
২০১৪ সালে মিজানের মালিকানাধীন তিন প্রতিষ্ঠান মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেসার্স এম আর ট্রেডার্স অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে মোট ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।
ওই ঋণ নিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের যে কাগজপত্র মিজান দিয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে অভিযোগ এলে গত মে মাসে তার অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্তও করছে দুদক।