বাংলালিংক: সমাধানের আশ্বাসে মুক্ত হলেন অবরুদ্ধ কর্মকর্তা

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকে এক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির ঘটনায় প্রায় নয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শেষ রাতে কর্মস্থল থেকে বের হতে পেরেছেন প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) পিরিহেনি এলহামি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2016, 05:35 AM
Updated : 12 Feb 2016, 08:50 AM

প্রস্তাবিত বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলালিংকের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমাধানের আশ্বাস পাওয়ার পর রাত ৩টার দিকে তারা অবস্থান তুলে নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।

বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সরে যাওয়ার পর সিটিও পিরিহেনি এলহামি গুলশানে বাংলালিংক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

শুক্রবার সকালেও বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে ছিলেন না।

উজ্জ্বল পাল বলেন, “আগামী রোববার এ বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠক হবে এবং সেই বৈঠকে একটি সমাধান আসবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।”

জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রায় দুইশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিটিও এলহামিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

কর্মচারী ইউনিয়ন গঠনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখায় কর্তৃপক্ষ শরিফুল ইসলামের ওপর খড়গহস্ত হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।

উজ্জ্বল পাল জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকে ইউনিয়ন করার বিষয়টি অবহিত করে একটি প্রস্তাবিত কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। শরিফুল ইসলাম ওই কমিটির একজন সদস্য।

এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ শরিফুল ইসলামকে ডেকে চাকরিচ্যুতির চিঠি ধরিয়ে দিলে সিটিওকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলহামি বের হতে চাইলে প্রধান ফটকে আটকা পড়েন। বিক্ষোভের মুখে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর ভেতরে ফিরে যান তিনি।

এই মিশরীয় নারী ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলালিংকের সিটিও পদে রয়েছেন।

চাকরিচ্যুতি এবং বিক্ষোভের বিষয়ে শুক্রবার সকালেও বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।