বাংলালিংকে গণ্ডগোল, কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

এক সহকর্মীকে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বাংলালিংকের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জ্যেষ্ঠ্য প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2016, 05:16 PM
Updated : 11 Feb 2016, 07:21 PM

রাজধানী গুলশানে বাংলালিংক প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) পিরিহেনি এলহামি তার কক্ষে আটকে আছেন।

কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর শুনে সেখানে পুলিশও গেছে। ওই নারী কর্মকর্তা ভেতরে রয়েছেন। ফটক আগলে অবস্থান নিয়ে আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাত পৌনে ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শামীম আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, প্রায় দুইশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিটিও এলহামিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারা জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

প্রস্তাবিত বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কর্মচারী ইউনিয়ন গঠনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখায় শরিফুল ইসলামের উপর খড়গহস্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিনি জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকে ইউনিয়ন করার বিষয়টি অবহিত করে একটি প্রস্তাবিত কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। শরিফুল ইসলাম প্রস্তাবিত কমিটির একজন সদস্য।

“আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্তৃপক্ষ শরিফুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে চাকরিচ্যুতির চিঠি ধরিয়ে দেয়। এর পর থেকে আমরা সিটিওকে আটকে রেখেছি। শরিফুলকে চাকরিতে বহাল না করা পর্যন্ত আমরা তাকে অফিস থেকে বের হতে দেব না।”

রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলহামি বের হতে চাইলে প্রধান ফটকে আটকা পড়েন। বিক্ষোভের মুখে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর পুনরায় ভেতরে ঢুকে যান তিনি।

বাংলালিংকে সিটিও পদে এই নারী কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ থেকে রয়েছেন।

এই বিষয়ে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাত পৌনে ১১টার দিকে গুলশান থানার ওসিকে বাংলালিংক কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়। বাইরে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যও অবস্থান নিয়েছেন।

ওসি সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খবর শুনে আমরা এখানে এসেছি। আমরা বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের অনুরোধ করেছি।”

গুলশান থানার পরিদর্শক সালাউদ্দিন মিয়া রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিক্ষোভকারীরা রাতভর অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আমরা তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি।”