কেপিপিএলের ব্যাংক হিসাবে এনবিআরের নজর

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল) ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক এসএম আমজাদ হোসেনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2015, 08:55 AM
Updated : 9 Sept 2015, 10:21 AM

আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া আমজাদ এবং কেপিপিএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেট্রো ব্রিকসের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।  

এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে (মেয়াদি আমানত, মেয়াদি সঞ্চয়, চলতি ঋণ ও ফরেন কারেন্সি হিসাব; ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট) ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে যেসব লেনদেন হয়েছে, তার সব তথ্য চেয়েছে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

সাধারণত কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সিআইসি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদের হিসাব নিয়ে থাকে। তবে কেপিপিএলের বিরুদ্ধে করফাঁকির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এসেছে কী না- সে বিষয়ে কোনো তথ্য এনবিআরের কর্মকর্তারা দেননি।

এসএম আমজাদ হোসেন সর্বশেষ রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া নয়টি ব্যাংকের একটি- ‘সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের’ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। তার স্ত্রী ওই ব্যাংকের একজন পরিচালক।  

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং লিমিটেড গতবছর চার কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ওই সময়ই কেপিপিএলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মুনাফা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ উঠে।

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পর প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা কম দেখানো শুরু করলে ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আইপিওর ঘোষণাপত্রে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩৪ কোটি টাকা  আয় দেখানো হয়েছে। কিন্তুর পরের বছরই মুনাফা অস্বাভাবিকভাবে প্রায় আড়াইশ শতাংশ বেড়ে ১১৯ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি বেড়েছে ২০৮ কোটি টাকা হয়। তবে পরের অর্থবছরেই তা ১৯১ কোটি টাকায় নেমে আসে।

এরপর এক রিট মামলায় হাই কোর্ট কেপিপিএল এর আইপিও কার্যক্রম স্থগিত করলেও আপিল বিভাগের আদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার এ কোম্পানির শেয়ার ১৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৩ কোটি টাকা।