সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সরকারসমর্থক এ ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের ভাংচুরের শিকার হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৩০টি গাড়ি।
তাদের তাণ্ডবের পর মহাখালী আমতলী থেকে গুলশান-১ নম্বর সার্কেলগামী সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মুশতাক আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।”
এর কিছুক্ষণ পর অর্ধশতাধিক তরুণ মূল সড়কে এসে নির্বিচারে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে।এ সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। দুই দিকে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
তাণ্ডবের পরপরই তিতুমীর কলেজের ভেতরে একটি এবং উল্টো পাশের গলির ভেতরে আরেকটি দলকে মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় দুই পক্ষই ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে আমাদের প্রতিবেদক জানান।
এ সময় কলেজের ভেতর থেকে ধারাল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকজনকে ফটকের দিকে এগোতে দেখা যায়।
দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাব্বী ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক বলে জানান ডলার।
তিনি বলেন, “সানিকে মারধর করার সময় রাব্বিকে আমাদের কয়েকজন চড় থাপ্পড় মারে। পরে আমরা বিষয়টি মিউচুয়াল করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মহল্লার ওরা আমাদের ছেলেদের মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে।”
পরে কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের সামনে অবস্থান নিলে তাদের দিকে অপরপক্ষ ঢিল ছোড়ে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।