চট্টগ্রামে অস্ত্র, গুলিসহ ৭ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2015, 01:00 PM
Updated : 30 June 2015, 01:00 PM

সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. নেকাব হোসেন হৃদয় (২৬), মো. ওমর ফারুক ওরফে পারভেজ (২৫), মো. ইয়াছিন ওরফে সুমন (২৫), মো. জসীম উদ্দিন (২৩), আজগর আলী (৪০), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২২) ও মো. জুয়েল (২০)।

এদের মধ্যে আজগর আলী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও পারভেজ চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) বেসামরিক কর্মচারি হিসেবে বাবুর্চির কাজ করে থাকেন।  

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রথম চার জন হাটহাজারি উপজেলার বড়দিঘী-ভাটিয়ারি সড়কের তিন নম্বর বাজারের বাসিন্দা।

রোজাকে সামনে রেখে তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে থাকে।

নেজাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হৃদয়, পারভেজ, সুমন ও জসীম সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আজগর তাদের অটোরিকশা চালক এবং নোমান তাদের অস্ত্রগুলো রাখার পাশাপাশি ছিনতাইকরা মোবাইল ফোনগুলো কিনে নেয়।

এছাড়া জুয়েল ও নোমান তাদের কাছে থেকে মোবাইল ফোন কিনে বলেও জানান তিনি।   

দলনেতা নেকাব হোসেন হৃদয় নগরীর তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী চক্র ‘হামকা’ গ্রুপের সদস্য। ২০১১ সালে নগরীর ডবলমুরিং থানার জাম্বুরি ফিল্ড এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল।

বর্তমানে হামকা গ্রুপের অনেকে কারাগারে থাকায় সে নিজেই দলটি গড়ে তুলে বলেও জানান তিনি।

গ্রেপ্তার হৃদয় পুলিশকে জানায়, চার বছর কারাগারে থাকার পর কয়েকমাস আগে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িয়ে পড়ে।

“একদিন পরপর তারা ছিনতাইয়ের কাজে বের হয়। দিনে চার থেকে পাঁচটি ছিনতাই করে থাকেন। গত ১৭ জুন নগরীর স্টেডিয়াম, বড়পুল ও নিমতলা এলাকায় একদিনে পাঁচটি মোবাইল ছিনতাই করে।”

সন্ধ্যার পর থেকে তারা ছিনতাইয়ের কাজে বের হয় জানিয়ে পুলিশকে বলেন, গোঁয়াসি বাগান, গণি বোকারি, সিআরবি, স্টেডিয়ামসহ অন্ধকার জায়গায় বেশি ছিনতাই করে থাকে। সেসব এলাকায় কোন রিকশা যাত্রীকে চাপাতি ও অস্ত্র ধরে তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়।  

নোমান পুলিশকে জানায়, নগরীর কুলগাঁও এলাকার আহসানুল উলুম মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।  

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ভেতর দিয়ে তাদের বাসায় যেতে হয় বলে তারা তাদের অস্ত্রগুলো নোমানের কাছে জমা রাখে। ছিনতাইয়ের কাজে বের হওয়ার সময় তারা নোমানের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো নিয়ে কাজ শেষে আবার রেখে আসে।

অভিযানে থাকা কোতোয়ালী থানার এসআই প্রিটন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে সিআরবি এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশাসহ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নোমান ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে দুইটি আই ফোনসহ ছয়টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, চাপাতি, ছুরি ও খেলনার একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।