আশিটি দেশের নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে আঠারোর কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের পক্ষে মত দিয়েছে এ সংক্রান্ত ‘যাচাই কমিটি’।
Published : 24 Jun 2015, 12:23 PM
কমিশনারদের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য কমবয়সীদের তথ্য সংগ্রহে রোজার পর কাজ শুরু করার মত এসেছে কমিশনের সভায়।
১৫-১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ নিয়ে গত ৪ ও ৯ জুন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত পৌঁছতে ব্যর্থ হয় ইসি। পরে বিভিন্ন দেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুবিধা-অসুবিধা এবং যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে চার সদস্যের এই যাচাই কমিটি করা হয়।
গত রোববার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, যেখানে ৮০টি দেশের নাগরিকদের নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও পরিচয়পত্র দেওয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার কমিশনের সভায় ওই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রমজানের পর নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহে ইতিবাচক মতামত এসেছে। সভার কার্যবিবরণী চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।”
এ প্রক্রিয়ায় সার্কভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর তথ্য যাচাই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কমিটির সদস্য নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব মো. সেলিম মিয়া বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহের পক্ষে মত দিয়েছি। কীভাবে করা হবে কমিশন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”
কমিশন সভায় ২০১৫-২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মপরিকল্পনায় ১৫-১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ ও পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।
‘কম বয়সীদের’ তথ্য সংগ্রহ করার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন তিন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী।
তাদের মতামত, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে ছয় মাস পর। এছাড়া নিবন্ধিত সোয়া ৯ কোটি নাগরিককে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ শেষ না করে আবার তথ্য সংগ্রহে নামলে জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া আঠারোর কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিশাল অংকের অর্থের ‘অপচয়’ হবে বলেও তারা বলেছিলেন।