শনিবার ভোরে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে একটি পুরুষ হাতি শিকল ছিঁড়ে এসে মোল্লাহাট উপজেলার দুই নারীসহ তিনজনকে হত্যা করে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়নের বাসাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়ির বাঁশ বাগান থেকে আক্রমণকারী হাতিটিকে এখনও সরানো হয়নি। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে, হাতিটি যাতে নতুন করে আবার আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পাহারা বসিয়েছে পুলিশ।
আটজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার পর থেকে কাহালপুর ও বাসাবাড়ি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
“হাতির মালিক পক্ষ এখনও হাতিটিকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। হাতিটিকে বেঁধে রাখা হলেও এলাকার মানুষ পুরোপুরি নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় হাতি আবার শিকল ছিঁড়ে আক্রমণ চালাবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে।”
দ্রুত ওই হাতিটিকে গ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
আটজুড়ি ইউনিয়নের সদস্য তাসলিমা বেগম বলেন, হাতির আক্রমণে কাহালপুর গ্রামের কুসুম ও মিজানুর নিহত হয়েছেন।
ওই পরিবারে মিজানুর একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখার কেউ নেই। তাই পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার দাবি জানান তিনি।
তাসলিমা আরও বলেন, ত্রিশ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মালিক পক্ষ হাতিটিকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মোল্লাহাট থানার ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই পুরুষ হাতিটিকে সরিয়ে নিতে মালিকপক্ষকে ঢাকা থেকে একটি নারী হাতিটি আনার জন্য বলা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ বাসাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের বাঁশ বাগান ঘিরে রেখেছে। হাতিটি যাতে নতুন করে আবার কাউকে আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
হাতিটিকে মালিকপক্ষ যতক্ষণ না সরিয়ে নিচ্ছে ততক্ষণ পুলিশ গ্রামবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহারা দিবে বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোববার সকালে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আটজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মোল্লা।