‘নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী উপজেলার রেলগেট এলাকায় এই দাবিতে মানববন্ধন করে তারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজের আহবায়ক মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু, মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন, উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মোল্যা, নাগরিক সমাজের নেতা মনোজ সাহা, রেজাউল করিম বকু, মালেক সিকদার, মুরাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বন্ধ করার জন্য পরিবহন মালিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বাস ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার সোহাগ পরিবহনের চালক ও তার সহকারীর বিচার বাধাগ্রস্ত করতে অযৌক্তিকভাকে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে সমালোচনা করেন।
অবিলম্বে বাস চালু না করলে ভবিষ্যতে সোহাগ পরিবহনকে ফরিদপুরের উপর দিয়ে চলতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন তারা।
সোহাগসহ কয়েকটি পরিবহনের স্টাফরা নৈশকোচে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত দাবি করে তারা বলেন, ডাকাতদের পক্ষে ডাকা এই ধর্মঘটে অহেতুক ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে।
জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের স্টাফদের ছাড়িয়ে নেওয়ার দাবি অনৈতিক ও বেআইনি উল্লেখ করে তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি হয় ফরিদপুর এলাকায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসটির চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট করছে দক্ষিণের মালিক-শ্রমিকরা। রোববার ছিল ধর্মঘটের পঞ্চম দিন।
ধর্মঘটের কারণে ভারত থেকে আসা যাত্রীরা এবং ওই রুটে চলাচলকারী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।