মঙ্গলবার বিকালে ‘এমভি জাভালে নূর’ নামের কার্গোটির তলা ফেটে যায়। এরপর একপাশে কাত হয়ে ডুবে যায়।
এদিকে দ্রুত কার্গোতে থাকা সার তুলে না আনতে পারলে ওই রাসায়নিক পানিতে মিশে দূষণ ঘটাতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার মংলা বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কার্গোটি ৫শ মেট্রিক টন এমওপি সার বহন করছিল।
ওইদিন বিকালে সুন্দরবনের ভোলা নদীর মরাভোলার ডুবোচরে এটি আটকা পড়া।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে মালিকপক্ষ জাহাজটিকে উদ্ধার করতে দুটি কার্গো নিয়ে আসে।
উদ্ধার করার এক পর্যায়ে চরে আটকে পড়া কার্গোটির তলা ফেটে যায়। এরপর কার্গোর ভেতরে পানি উঠে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ওসি মো. রেজাউল করিমও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমওপি সারের পটাশিয়াম বিষাক্ত রাসায়নিক। এটি পানিতে মিশে জলজ প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে।
তবে, পানিতে মিশে যাওয়ার আগে কার্গো থেকে সার তুলে আনতে পারলে দূষণ এড়ানো যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তিন লাখ লিটার ফার্নেস অয়েলবাহী একটি জাহাজ ডুবে যায়। এতে ব্যাপক পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করেন পরিবেশবিদরা।