গত শুক্রবার থাইল্যান্ড পুলিশ ওই জঙ্গলে অন্তত ৩০টি কবরের সন্ধান পায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওইগুলো রোহিঙ্গাদের, তারা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে যেতে চেয়েছিল।
ওই জঙ্গল থেকে জীবিত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আনুজার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি বলে থাইল্যান্ডের অললাইন পোর্টাল ‘ফুকেট ওয়ান’ জানিয়েছে।
এই খবর বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যাংককে বাংলাদেশি দূতাবাস ইতোমধ্যে থাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তার সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
“এক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে।”
আনুজার নামে ওই ব্যক্তি বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাড়ি নরসিংদী বলে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে।
আনুজের নামে ওই যুবক বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
অনুমতি পাওয়ার পর থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে কথা বলবেন।
আনুজেরকে উদ্ধৃত করে থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল থেকে তাদের ধরে এনে মুক্তিপণের জন্য ওই জঙ্গলে আটকে রাখা হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি ছিলেন।
এই কবরের সন্ধান অবৈধভাবে মানব পাচারের একটি চিত্রই তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে অবৈধভাবে মানবপাচারের বেশ কয়েকটি ঘটনায় সাগরে নৌকা ডুবে অনেকের মৃত্যুর ঘটনাও উদ্ঘাটিত হয়েছে।