আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারি কোনো পদে না থাকায় প্রচারের সুযোগ থাকলেও গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, শীর্ষ নেতাদের নিয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে মেয়র প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্টদের বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় সম্প্রতি রাস্তাঘাট বন্ধ ও গাড়িবহর ব্যবহারের বিষয়টি নজরে এসেছে, যা আচরণবিধি পরিপন্থি।”
সোমবার মেয়র প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের কথা জানিয়ে এই নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, “বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভালোভাবে বিধি মেনে প্রচারণার নির্দেশনা দিয়েছি। সেই সঙ্গে ভোটের ফল সংগ্রহ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের।”
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদকে দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে আর প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার
তিনি বলেন, “জাপা চেয়ারম্যান ও বিশেষ দূত ইতোমধ্যে কয়েকটি সভায় অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করেছেন। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি হিসেবে তাকে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছি আমরা।”
জাপা চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকায় এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
“বিধি লংঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
এদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে খালেদা জিয়াকে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে এলে খতিয়ে দেখা হবে বলে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে যদি ও রকম অভিযোগ আসে অবশ্যই আমরা দেখব। সেখানে আমার প্রমাণ লাগবে, প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে রোববার উত্তরায় প্রচার চালাতে গিয়ে খালেদা জিয়া বাধার মুখে পড়েন, আর সোমবার বিকালে কারওয়ান বাজারে পথসভা করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
লাঠিসোঁটা ও ইটের আঘাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজন আহত হন। তার গাড়িবহরের প্রায় সব গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। খালেদার গাড়ির কাচ ফাটলেও তিনি অক্ষত আছেন।