বাংলা নববর্ষে রাজধানীতে নারীদের লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও শোভাযাত্রায় একথা বলেন তারা।
রোববার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বিচার হবে না?’ শিরোনামে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। এতে জড়িতদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফিফা চেরি বলেন, ভাবতে কষ্ট হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হওয়া সত্ত্বেও নারীরা এভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।
ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের মাশা আল আইরিন খান বলেন, “আমরা শুধু ঢাকার যৌন হয়রানির কথাই জানি। কিন্তু পহেলা বৈশাখে রাবিতেও আমার চোখের সামনে এক দম্পতিকে যৌন হয়রানি করা হয়েছিল।
“গত শনিবার সন্ধ্যায় পথ চলার সময় আমার দিকে পাথর ছুড়ে গালি দিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত করে দুইজন দ্রুতবেগে মোটর সাইকেলে চলে যায়।
“এগুলো হয়ত এখানে কম ঘটছে, তাই আমরা জানি না। কিন্তু প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটছে।”
ইংরেজির তৃতীয় বর্ষের মৌমিতা বলেন, “দেশে প্রত্যেকটা মেয়েই রাস্তায়, বাসে এমনকি বাড়িতেও কোনো না কোনোভাবে প্রতি মুহূর্তে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।”
যারা বোরখা পরছে তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছে, বলেন তিনি।
মানববন্ধন শেষে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে তারা একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে তারা সাবাস বাংলার মূর্তির চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন।