তার এ পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ইয়েমেনে তুমুল লড়াই অবসানের জাতিসংঘ প্রচেষ্টায় ব্যর্থতারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মরোক্কোর বর্ষীয়ান কূটনীতিক বেনোমার ইয়েমেনে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা প্রশমিত করতে ২০১১ সালে একটি ক্ষমতা হস্তান্তর পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা ভেস্তে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ইয়েমেনে শুরু হয় হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা, যা এখনো চলছে।
পশ্চিমা জাতিসংঘ কূটনীতিকরা বলছেন, পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলো সমর্থিত ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনায় সফলতা অর্জন করতে না পারার কারণে বোনেমারের ওপর নাখোশ ছিল সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো।
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বু মনসুর হাদি এবং হুতিরা বেনোমারের দূতিয়ালি নিযে অধৈর্য হয়ে পড়েছিল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে ইয়েমেনের রাজনৈতিক কয়েকটি সূত্র। তাছাড়া, জাতিসংঘ উদ্যোগে চলা আলোচনার মাঝেও ইয়েমেনে দু’পক্ষে বারবার ছড়িয়ে পড়ছিল সংঘর্ষ। শেষ পর্যন্ত চলমান সঙ্কটের মাঝেই ইস্তফা দিলেন বেনোমার।
ইয়েমেন সঙ্কট নিরসনে এখন জাতিসংঘের পক্ষে দূতিয়ালি করার জন্য মৌরিতানিয়ার কূটনীতিক ইসমাইল ঔল্ড শেখ আহমেদকে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। তবে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এক পশ্চিমা কূটনীতিক।