তিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটের আগে উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন না দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 06 Apr 2015, 08:30 PM
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের আগে সোমবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার শেরে বাংলানগরে এনইসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকের কথা রয়েছে।
গত ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
পরে ২৯ মার্চ এ তিন নির্বাচনী এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যু, নতুন ধরনের অনুদান, ত্রাণ বিতরণ ও প্রকল্প অনুমোদন স্থগিত রাখার জন্যে স্থানীয় সরকার বিভাগসহ চার মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানায় কমিশন।
আসন্ন একনেক সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার দুটি প্রকল্প উপস্থাপনের কথা গণমাধ্যমে এসেছে। এসব প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন করে।
ইসির উপ সচিব সামসুল আলম জানান, নির্বাচনকালীন সিটি করপোরেশন এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিতে অনুরোধ জানানো হয়। আগেও অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এ কর্মকর্তা জানান, অনুদান/ ত্রাণবিতরণ, অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে নির্বাচনী এলাকায় নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে ইসির সম্মতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
তিনি জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশন, সিটি করপোরেশনের প্রশাসককেও অবহিত করা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত একনেক সভার কার্যতালিকায় এ ধরনের প্রকল্প থাকছে না বলে নিশ্চিত করেন পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা।
এদিকে ইসির উপ সচিব সামসুল আলম জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকা বা অন্য কোনো এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান দেওয়া বা অঙ্গীকার করতে পারবেন না প্রার্থী।
এ অপরাধে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পত্তি (অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা) ভোটের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মাশুল দিয়েও ব্যবহার করা যাবে না।
আচরণবিধি অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত (ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে) প্রচারণার সুযোগ রয়েছে। ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টাও সভা, শোভাযাত্রা, মিছিল-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।