মাগুরায় ট্রাকে অবরোধ সমর্থকদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধদের আরেকজন মারা গেছেন।
Published : 22 Mar 2015, 08:27 AM
এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হল।দগ্ধ আরো তিন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মতিন বিশ্বাস মারা যান বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমায় মতিনের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন।
মতিনের আগে বেলা ১২টার দিকে ওই ঘটনায় দগ্ধ শাকিল আহমেদ মারা যান বলে এই চিকিৎসক জানান।
তার শরীরের ৬৫ শতাংশের মতো দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান তিনি।
মাগুরা থেকে দগ্ধ নয়জনকে মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে তাদের মধ্যে রওশন আলী বিশ্বাসকে (৩৫) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে চিকিৎসক পার্থ জানান।
আগুনে রওশনের শরীরের ৯০ শতাংশের মতো পুড়ে গিয়েছিল।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার মঘীর ঢাল এলাকায় ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ হয়েছিলেন এই নয় শ্রমিক।
রাত আড়াইটার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেলে আনা হয় বলে পার্থ শংকর পাল জানান।
মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আরো তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
তাদের মধ্যে ইয়াদুলের শরীরের ৮৮ শতাংশ, ইমরান হোসেনের ৫০ শতাংশ ও ইলিয়াস বিশ্বাসের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এদের বাইরে দগ্ধ নাজমুল হোসেন, ফারুক ও আরব আলীর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলে পার্থ জানিয়েছেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে শনিবার রাতে মাগুরা সদর উপজেলার মঘীর ঢাল এলাকায় এই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার হন শ্রমিকরা।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় জানান, মাগুরার শালিখার আড়পাড়া এলাকায় বালু নামিয়ে শ্রমিকরা ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মঘির ঢাল এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি অবরোধের ডাক দেওয়ার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
নাশকতার এসব ঘটনায় ১২৮ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।