আইএস এর হাতে আরেক বাংলাদেশি জিম্মি 

লিবিয়ার আল গানি তেলক্ষেত্র থেকে অপহরণের পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাতে জিম্মি নয়জনের মধ্যে আরেকজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2015, 11:31 AM
Updated : 10 March 2015, 05:46 PM

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লিবিয়ায় অপহৃত দ্বিতীয় বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি নোয়াখালী; পাসপোর্ট নম্বর এই৩৬৩০৭৫৪।

এর আগে আনোয়ারকে সুদানের নাগরিক বলে ভাবা হলেও পাশের আরেকটি তেলক্ষেত্রের এক নাগরিকের মাধ্যমে অপহৃত এই বাংলাদেশির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

ওই খনি থেকে নয় বিদেশির অপহৃত হওয়ার খবর জানিয়ে তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি থাকার খবর সোমবার নিশ্চিত করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

হেলাল উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি জামালপুরে; পাসপোর্ট নম্বর বি০১৫৬৫৫৩।

আইএস জঙ্গিরা গত শুক্রবার লিবিয়ার সিরাত শহরের দক্ষিণে আল গানি তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে  ১১জন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী ওই তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর নয়জন কর্মীর অপহৃত হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন।

লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে তারা।

পাশের একটি তেলক্ষেত্রে কর্মরত ২১ বাংলাদেশিকে ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত বছর ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে খিলাফত কায়েমের ঘোষণা দেয় আইএস, যার মধ্য দিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা তৈরি হয়।

সিরিয়া ও ইরাকে এই জঙ্গি দলটির হাতে নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মিশর, জর্ডান ও তুরস্কের অর্ধশতাধিক নাগরিককে জিম্মি করার পর তাদের শিরোশ্ছেদ করে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ করেছে এই সন্ত্রাসীরা।

জর্ডানের এক পাইলটকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পরও তারা একই কাজ করেছে।

এসব ঘটনায় জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে সাধারণত নিজেদের বন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে আইএস। তবে জাপানি জিম্মিদের ক্ষেত্রে চাওয়া হয় মোটা অংকের অর্থ।