খালেদার বাড়ি থেকে পুলিশ প্রত্যাহার

খালেদা জিয়া কার্যালয়ে অবস্থানের মধ্যে তার বাসার পাহারায় থাকা পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2015, 04:19 PM
Updated : 1 March 2015, 04:19 PM

সাত সদস্যের পুলিশের দলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ সদস্যদের চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় নিরাপত্তায় থাকা ওই পুলিশ দলের প্রধান এএসআই জহিরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এতদিন এখানে ভিআইপি নিরাপত্তায় ছিলাম। ওপরের নির্দেশে আমাদের পুলিশ লাইনে রিপোর্ট করতে বলেছে। আমরা চলে যাচ্ছি।”

এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশ চলে গেলেও খালেদার বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তায় তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা রয়েছেন।

চার বছর আগে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর গুলশানের এই ভাড়া বাড়িতে থাকছেন খালেদা।

তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৮৬ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে নিজের কার্যালয়ে রয়েছেন খালেদা।  

নিরাপত্তার জন্য থাকা পুলিশ ওই কার্যালয়ে কারও ঢোকা-বের হওয়াও নিয়ন্ত্রণ করছে। এর বাইরে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও রয়েছেন সেখানে।

খালেদা জিয়ার বাড়ির এই ছবিটি ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তোলা

খালেদার ওই কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে ইতোমধ্যে আদালতের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় পুলিশ আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান রোববার তল্লাশির পরোয়ানা জারি করেন।

পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ওই কার্যালয়ে বিস্ফোরক থাকতে পারে এবং পলাতক আসামিরা সেখানে থাকতে পারেন।

ওই কার্যালয়ে অবস্থানের মধ্যেই গত সপ্তাহে জিয়া অরফ্যানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে ঢাকার জজ আদালত।

কয়েকজন নেতা-কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে অর্ধশত ব্যক্তি কার্যালয়ে খালেদার সঙ্গে রয়েছেন।

দশম সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি পুলিশের বাধায় কার্যালয় থেকে বের হতে না পারে সেখানে অবস্থান নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এরপর ওই কার্যালয় ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। কয়েকদিন বাদে পুলিশি বেষ্টনি সরিয়ে নেওয়া হলেও কার্যালয় ছাড়েননি খালেদা। মালয়েশিয়া থেকে ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের লাশ এলে কার্যালয়ে থেকেই ছেলেকে শেষ বিদায় জানান তিনি।

কয়েকদিন ওই কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ঢোকা-বের হওয়া অবাধ হলেও ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। সেখানে খাবার ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মাঝে একবার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।