চট্টগ্রামে শিবিরের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে চট্টগ্রাম এসিছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
Published : 21 Feb 2015, 06:40 PM
শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. এনামুল কবীরকে (৩১) শুক্রবার রাতে নগরীর বাকরিয়া বগারবিলে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই সময় নগরীর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড শিবিরের বায়তুল মাল সম্পাদক মুশফিক আবরার মাহিন (২০) এবং শিবির মহানগর উত্তরের পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফাকেও (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ আবদুর রউফ শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে নাশকতার ‘বিশেষ বার্তা’ নিয়ে এনামুল চট্টগ্রামে এসেছিল।
“চট্টগ্রাম পৌঁছে নগর উত্তরের শিবির সভাপতি নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তার মাধ্যমে নগরীতে নাশকতা ব্যাপক আকারে চালানোর জন্য বেশকয়েকবার গোপন বৈঠকে মিলিত হয় এনামুল।”
১৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর ফয়’স লেকে এনামুল চট্টগ্রামে শিবিরের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক করে নাশকতা বাড়ানোর পরিকল্পনা দেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
আবদুর রউফ জানান, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছিল হরতালকারীরা গুরুত্বপূর্ণস্থানে হামলার পরিকল্পনা করছে।
এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত গুরুত্ব স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রউফ জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর সাব এরিয়া এলাকায় বাসে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল গ্রেপ্তার মাহিন ও মোস্তফা। মাহিন ঢাকা থেকে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে আসা এনামুলের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছিল।
এনামুল চট্টগ্রামে ‘বিশেষ বার্তা’ নিয়ে আসার পর থেকে নগরীতে পেট্রোল বোমা ও ককটেল হামলা বেড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃত মাহিন নগরীর বাকলিয়া থানার বগারবিল এলাকার ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মুহিবুল হকের ছেলে। তার বাসা থেকেই এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া মোস্তফার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পাইদং গ্রামে। তার বাবার নাম মনির আহমদ। সে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইসলামি স্টাডিজের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
এদিকে এনামুল ও মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ দিন সময় মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে
১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউসন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই জনের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে।