একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সুবহানকে নির্দোষ দাবি করেছেন এই জামায়াত নেতার ছেলে নেছার আহমদ নান্নু।
Published : 18 Feb 2015, 01:55 PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার জামায়াতের নায়েবে আমির সুবহানের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার পর নান্নু সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ‘মিথ্যা মামলায়’ তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।”
‘ভয়ভীতি ও টাকার প্রলোভন’ দেখিয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ সাক্ষী হাজির করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে তার দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
একাত্তরে পাবনায় সুবহানের কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে একজন ‘অতি কুখ্যাত’ ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করে বিচারক বলেন, এই জামায়াত নেতা ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে সে সময় ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।
পাকিস্তান আমলে আবদুস সুবহান ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হলে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে সুবহান পাবনায় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করেন বলে এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।
১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের করে ২৩ জনকে হত্যা; ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামে হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং সুজানগর থানার কয়েকটি গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণহত্যা চালানোর দায়ে সুবহানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং সদর থানার ভাড়ারা গ্রামে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সুবহানকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।