সন্ত্রাসে অর্থায়নসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার তথ্য প্রকাশের পর ঢাকার হাই কমিশন থেকে এক কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান।
Published : 03 Feb 2015, 01:41 PM
পাকিস্তান হাই কমিশনের অ্যাটাশে মোহাম্মদ মাজহার খান পরিবার নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়েন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
মাজহার এর আগে ঢাকায় পুলিশের হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, যিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং ভারতীয় মুদ্রা চোরাচালানে জড়িত ছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে বলার পর ইসলামাবাদ তাকে ফিরিয়ে নিয়েছে।
“তিনি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে আমাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান সরকার। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছিলেন তিনি,” বলেন মুখপাত্র।
তিনি বলেন, “তারা (পাকিস্তান হাই কমিশন) আমাদের জানিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি তিনি (মাজহার) ঢাকা ছেড়েছেন। তিনি কূটনীতিক ছিলেন না, হাই কমিশনের একজন কর্মকর্তা ছিলেন।”
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ জানুয়ারি ‘গোপন বৈঠকের সময়’ কয়েকজন সহযোগীসহ মাজহারকে আটক করে বনানী থানা পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পর পাকিস্তান হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সামিনা মাহতাব তাকে ছাড়িয়ে নেন।
তবে তার সঙ্গী মুজিবুর রহমান পুলিশ হেফাজতে মুদ্রা জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ করে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজহার খান ও হাই কমিশনের কয়েকজন সহকর্মী মুদ্রা পাচারে জড়িত ছিলেন, যে অর্থ হিজবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াতে ইসলামীর পকেটে যেত।
ঢাকায় দুই বছরেরও বেশি সময় অবস্থানকালে আইএসআই-এর চর হিসেবে তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম থেকে জঙ্গি সন্দেহে চার পাকিস্তানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।