১০৪ তম সাক্ষী জজ মিয়ার জেরা শেষ হওয়ার পর বুধবার সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেছেন ঘটনার সময়কার মিলিটারি অপারেশন প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের বিশেষ এজলাসে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিনের আদালতে এই মামলার বিচার চলছে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে বহুল আলোচিত এই মামলার বিচার শেষ হবে বলে বুধবারই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আশা প্রকাশ করেছেন।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও আসামি।
সাক্ষ্যে রফিকুল বলেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবিস্ফোরিত ও অব্যবহৃত পরিত্যক্ত গ্রেনেড ধ্বংসের জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছিলেন।
তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী অবিস্ফোরিত গ্রেনেডগুলো দ্রুত ধ্বংস করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার তখনকার প্রধান রেজ্জাকুল এখন মামলার আসামি।
রফিকুল আরও বলেন, আলামত হিসাবে এই গ্রেনেডগুলো রক্ষণাবেক্ষণে তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সী আতিকুর রহমান ও আব্দুর রশিদ অবহেলা করেছিলেন।
রেজ্জাকুলের মতো এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই মামলার আসামি করা হয়। গ্রেনেড হামলার এই ঘটনা তখন ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে পরে প্রমাণিত হয়।
জবানবন্দি দেওয়ার পর সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ নয় আসামির আইনজীবীরা সাক্ষী রফিকুলকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানান বলে ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ২ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি রফিকুলকে জেরার জন্য দিন রাখা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সেনবাগের জজ মিয়া রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে এই মামলার আসামি জজ মিয়ার সাক্ষ্য সাক্ষী হিসেবে নেওয়া নিয়ে জটিলতায় শুনানি আটকে ছিল বেশ কিছু দিন।
সেই জটিলতার অবসানের পর গত ২১ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবার শুরু হয়।