নাশকতায় নিহতদের গায়েবানা জানাজা শুক্রবার

বিএনপি জোটের অবরোধের মধ্যে নাশকতায় নিহতদের জন্য শুক্রবার গায়েবানা জানাজা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2015, 02:03 PM
Updated : 28 Jan 2015, 02:03 PM

বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর এই গায়েবানা জানাজা হবে বলে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন।

নাশকতার প্রতিবাদে বুধবার রাজধানীর পল্লবীতে  ১৪ দলের শান্তি সমাবেশে একথা জানান তিনি। বিরোধী জোটের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বোমা হামলা ও নাশকতার প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই সমাবেশ হয়।

নাসিম বলেন, “হরতাল-অবরোধে সহিংসতায় যারা মারা গেছে, তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১৪ দল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে  গায়েবানা জানাজা পড়বে ও সারা দেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ করবে।”

গত ৫ মার্চ থেকে চলমান ২০ দলের অবরোধের গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর, বোমাবাজিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে।    

অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “নিজের কোল খালি হওয়ার পর তার বোজা উচিৎ, এতগুলো মায়ের কোল খালি হলে তাদের কেমন লাগে । এখনও কেন আপনার (খালেদার) বোধোদয় হয় না?  আর কত মানুষ মারবেন?  মানুষ মারা বন্ধ করুন।”

সমাবেশে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  কামরুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।

‘সংলাপ নয়’

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিএনপি জোটের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।

লালদিঘী মাঠে সমাবেশে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শোক জানাতে যাওয়ার পরও যারা গেইট খোলেনি, তাদের সাথে কোনো সংলাপ হবে না।”

সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়েছে। নেপথ্যের কারিগররাও রেহাই পাবে না। জনগণ তাদেরকেও খুঁজে বের করে গণপিটুনি দেবে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এ দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

”আপনাদের (বিএনপি-জামায়াত) ভয়ে পরীক্ষা কখনও পেছাবে না। হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, পরীক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলাকারীদের সতর্ক করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর গায়ে হাত দেওয়ার পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

ভয় ভেঙে জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের আহ্বান জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “নির্বিঘ্নে যে যার কাজ করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা আপনাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাবে।”

সহিংসতা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিটি থানায় সমাবেশ ও কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সমাবেশে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জাসদ নেতা মাঈনুদ্দিন খান বাদল ও জসিম উদ্দিন বাবুল, শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, সাম্যবাদী দলের নেতা অমূল্য বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।