বিএনপিসহ বিরোধী জোটের অবরোধ চলাকালে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছেন একদল কূটনীতিক।
Published : 20 Jan 2015, 12:10 AM
সোমবার বিকালে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, জাপান, ব্রাজিল ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানদের কাছে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাড়ে ৩টায় কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা বলেছেন, এধরনের ‘ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করবে। তারা এক সুরে জোর গলায় ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও আগুনে পুড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
“এধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হতে পারে না বলে কূটনীতিকরা মতপ্রকাশ করেন।”
গত এক বছরের সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য এবং চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, কূটনীতিকরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র প্রশংসা করেন। তাদের প্রত্যাশা, খুব শিগগির সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে।
এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের নামে বিএনপির পক্ষে ভুয়া বিবৃতি প্রচার এবং ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভুয়া ফোনালাপের তথ্য প্রচারের বিষয়টিও কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
সরকারের বর্ষপূর্তিতে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরতে অবরোধের মধ্যেই গত ১৪ জানুয়ারি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়।
ওই দিন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মিশন প্রধানদের সঙ্গে এবং আলাদাভাবে রাশিয়া, নরওয়ে, দ্য হলি সি ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ওআইসিভুক্ত দেশগুলো এবং সার্ক-আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের কাছে আলাদাভাবে পরিস্থিতি তুলে ধরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।