ট্যাংকার ডুবে সুন্দরবনের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণে স্থানীয়দের কাজে লাগানোর পর এবার শ্রমিক ভাড়া করে তাদের নৌকায় করে নামিয়েছে বন বিভাগ।
Published : 13 Dec 2014, 02:02 PM
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার সকাল থেকে কাজে লাগানো হয়েছে ৫০টি নৌকা ও ট্রলার, যার প্রতিটিতে দুজন করে শ্রমিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করছেন।
“শ্রমিকরা শেলা নদীর জয়মণি থেকে হরিণটানা পর্যন্ত কচুরি পানা, গাছের ডালপালা এবং নদীর বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় যেসব তেল জড়িয়েছে সেইগুলো অপসারণে কাজ করছে।”
এভাবে সংগ্রহ করা তেল নৌকায় করে তীরে এনে মাটিতে গভীর গর্ত খুঁড়ে পুতে ফেলা হচ্ছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।
এদিকে এভাবে তেল অপসারণে আর দ্রুত করছে নৌকা ও ট্রলারের সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মাধ্যমে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৭২০০ লিটার তেল সংগ্রহ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি ৩০ টাকা লিটার দরে কিনে নিয়েছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবদুল্লাহ টেডার্সের মালিক রফিকুল ইসলাম বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সুন্দরবনের শেলা নদীতে সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েলবাহী একটি ট্রলার একটি কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায়। বন্যপ্রাণীর ওপর এর বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যেতে শুরু করেছে।
এর পরদিন নৌ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেলা নদী রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সুন্দরবনের জলপথে বাণিজ্যিক চলাচল নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শেলা নদী পথে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মংলা বন্দরে জাহাজের আসা যাওয়ার পরিমাণ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি শনিবার দুপুরে দিকে সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ের জয়মণি ফরেস্ট ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, “বন্দরটি ইমেজ সংকটে পড়েছে।”
এ অবস্থায় নৌযান চলাচলের জন্য বিকল্প পথ নিয়ে রোববার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে বলেও নৌমন্ত্রী জানান।