নারীর শিক্ষা, অধিকার ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানের জন্য অধ্যাপক মমতাজ বেগম ও গোলাপ বানুর হাতে চলতি বছরের বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 09 Dec 2014, 10:48 AM
মমতাজ বেগম ও গোলাপ বানুর হাতে স্বর্ণপদক, সনদ ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭২ সালের নারী পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হিসাবে মমতাজ বেগম সারাদেশে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এই নারী ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৩ এপ্রিল, কুমিল্লায়। ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯৬৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্ম নেওয়া গোলাপ বানুর প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সমবায় সমিতির মাধ্যমে তিনি নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৬ সালে গোলাপ বানু বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতি চালু করেন, যে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা এখন ৩৬ হাজার ৬৭৩ জন।
সমবায়ের মাধ্যমে এ সমিতি গত ১৮ বছরে ১৪৪ কোটি টাকার পুঁজি গঠন করেছে।
গোলাপ বানুর উদ্যোগে এ সমিতির সদস্যদের শিক্ষা দিতে বর্তমানে ছয়টি স্কুলও পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া অসহায় ও দুস্থ মহিলাদের ধাত্রী সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছেন তিনি।
বাঙালী নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতিতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সাল থেকে এই পদক প্রবর্তন করে। প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে এই পদক বিতরণ করা হয়।
প্রথম বছর বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ এই পদক পান। পরের বছর দেওয়া হয় কবি সুফিয়া কামাল ও নীলিমা ইব্রাহিমকে।
২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ৩৭ জনকে সরকার এই পদক দিল।