ইকবালসহ পরিবারের দশ সদস্য বুধবার সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান।
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর ভেতরে ঢুকে আধা ঘণ্টা কামারুজ্জামানের সঙ্গে সময় কাটান তারা।
জ্যেষ্ঠ কারাধ্যক্ষ ফরমান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসাবে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তারা ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে ১১টা ৮ পর্যন্ত ভেতরে ছিলেন।”
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্ত্রী নুরুন্নাহার, চার ছেলে হাসান ইকবাল, আহমেদ হাসান, ইকরাম হাসান, হাসান ঈমাম, মেয়ে আফিয়া নূর, ভাই নাজিরুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মাহাদী, বোন মোহসীনা বেগম ও ভাগ্নে আবদুল আলিম।
সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে কামারুজ্জামানের ছেলে ইকবাল বলেন, “বাবার মৃত্যু হবে একটি আদর্শিক মৃত্যু। আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই।”
হাসান ইকবাল বলেন, তিনি তার বাবাকে ‘সুস্থ্ ও স্বাভাবিক’ দেখেছেন। তিনি দেশবাসীকে ‘শান্ত থাকতে’ বলেছেন।
কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না জানতে চাইলে তার ছেলে বলেন, “এটা পরের বিষয়। রিভিউ এর পরে বাবা ভাববেন। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।”
একাত্তরে আল বদরের ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আপিলের রায়ে গত সোমবার ফাঁসির আদেশই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত।
গত সোমবার কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ে মৃতুদণ্ড বহাল রাখার পর মঙ্গলবার তাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এখন আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সেটি হাতে পেলে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে ট্রাইব্যুনাল। এরপর তা কার্যকর করবে সরকার। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে কারাবিধিও (জেল কোড) অনুসরণ করতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম রায়ের দিন জানান, “পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে যাবে। কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর করবে।”