মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. কামাল উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জানে আলম, মো. জানে আলম, নেজাম উদ্দিন ও সুমন। এদের মধ্যে সুমন ছাড়া অন্যরা কারাগারে আছে।
সাজাগুলো পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ১৫ মে কালুরঘাট রিজেন্ট টেক্সটাইলে কর্মরত দুই চাচাত বোন তাদের পরিচিত দুই জনের সঙ্গে পশ্চিম গোমদন্ডী ‘কনফিডেন্স সল্ট ফ্যাক্টরি’ এলাকায় বেড়াতে যায়।
সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দণ্ডিতরা টেম্পোযোগে এসে তরুণীদের সঙ্গে থাকা দুইজনকে মারধর করে তাদের অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পরদিন ধর্ষিতদের একজন বাদী হয়ে কামাল, জাহাঙ্গীর ও জানে আলমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুইজনসহ পাঁচজনকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন।
আইনজীবী জেসমিন জানান, একই বছরের ১৫ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত তিনজনের সঙ্গে নেজাম ও সুমনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় এবং পরের বছরের ২৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠন করে।
রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন বলে জানান তিনি।
দ-প্রাপ্তদের মধ্যে কামাল, জাহাঙ্গীর ও জানে আলমের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী এবং নেজাম ও সুমনের বাড়ি চর খিজিড়পুর গ্রামে।