কব্জি কেটে দিল ‘স্বামী’

পারিবারিক কলহের জের ধরে সাভারে এক স্কুল শিক্ষিকার হাতের কব্জি কাটার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2014, 12:57 PM
Updated : 23 Sept 2014, 01:09 PM

সাভারের চাপাইন এলাকায় সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই স্কুল শিক্ষিকার বড় ভাই জাকির হোসেন।

আহত সাবিনা ইয়াসমিন বুলিকে (২০) সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় চাঁপাইন ব্র্যাক স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

মামলায় স্বামী ফরহাদুল ইসলাম ভুইয়া, তার ভাবী মজিরন নেছা ও বড় ভাইয়ের শাশুড়ি হাফেজা বেগমকে আসামি করা হয়েছে।

ফরহাদুল শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার দড়িপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

মামলার বাদী জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার বিকালে তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিনকে তার স্বামী বটি দিয়ে কোপ দিলে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাম হাতের কব্জি অর্ধেক কেটে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা কেটে ফেলা কব্জিটি জোড়া লাগাতে পারেননি।

তিনি বলেন, “ফরহাদুল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত। সেখানে আগে একটি বিয়ে করেছিল। সেই বিয়ের কথা গোপন রেখেই আমার ছোট বোনকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বোনের পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। এরপর থেকেই সাবিনাকে নির্যাতন করতে থাকে সে।”

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিনা ইয়াসমিন বুলি বলেন, “সোমবার বিকালে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফরহাদুল আমার ডান হাতে ধারালো বটি দিয়ে কোপ দিলে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন আমি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সে আরেকটি কোপ দিলে বাম হাতে লেগে কব্জি অর্ধেক কেটে যায়।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাটা কব্জিটি থানা হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।